শুভময় পাত্র:বেঙ্গল নেক্সট্:বীরভূমঃ
রামপুরহাটে বগটুই গ্রামে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্যাকেজ ঘোষণা ও তৃণমূল নেতা শেখ আনারুলের গ্রেফতারের পর বিজেপি কে অনেকটাই ব্যাকফুটে ঠেলে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বগটুই এর ঘটনা নিয়ে যেভাবে বিজেপি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল, তাতে অনেকটাই নিরাশার জল ঢেলে দিলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কি ছিল সেই মর্মান্তিক ভয়াবহ ঘটনা, তা শোনেন মুখ্যমন্ত্রী তাদের কাছথেকে এবং পুরো ঘটনা শোনার পর রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দেন অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে আনারুলকে, কারণ গ্রামবাসীরা বিপদের আভাস বুঝতে পেরে প্রথমে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুলকে জানিয়েছিল পুলিশকে খবর দিতে । কিন্তু আনারুল তা করেনি, এই কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অবিলম্বে পুলিশের ডিজি কে নির্দেশ দেন আনারুলকে হয় আত্মসমর্পণ করতে হবে, নয়তো তাকে গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি তিনি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রামপুরহাটের এসডিপিও এবং আইসির সমালোচনাও করেন। তিনি জানান এসডিপিও এবং আইসির আরো সক্রিয় থাকা উচিত ছিল, তাহলে এই ধরনের ঘটনা এড়ানো যেত। এই ঘটনার পরপরই সাসপেন্ড করা হয় রামপুরহাটের এসডিপিও ও আই সি দু’জনকেই। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর আনারুলের মোবাইল ট্র্যাক করে রামপুরহাটের তারাপীঠের কাছে এক হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিন স্বজনহারাদের পরিবারের পাশে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিহতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ও পরিবার পিছু একজনের চাকরি এবং আহতদেরকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর কোটায় চাকরি দেওয়া হবে পরিবার পিছু একজনকে। সেক্ষেত্রে যারা চাকরি পাবেন তারা প্রথম এক বছর অস্থায়ী ভিত্তিতে থাকাকালীন পাবেন ১০ হাজার টাকা এবং এক বছর পর চাকরি পাকাপাকি হয়ে যাবার পর নির্ধারিত স্কেলে তারা বেতন পাবেন। রাজ্য রাজনীতিতে মুখ্যমন্ত্রীর ঘটনাস্থলে গিয়ে এই ধরনের কর্মকাণ্ডের পর রাজ্যে বিজেপি, কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের প্রতিনিধিরা গিয়ে যে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন তাতে অনেকটাই স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে আসতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।