বেঙ্গল নেক্সট্: বীরভূমঃ
বীরভূমের রামপুরহাটে তৃণমূল নেতার খুনের ঘটনার জেরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। বগটুই এলাকায় ১০টি বাড়িতে আগুন। অগ্নিদগ্ধ বাড়িগুলি থেকে আটটি ঝলসানো মৃতদেহ উদ্ধার করে দমকলবাহিনী।
সোমবার বগটুই গ্রামে বোমা হামলায় রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ কে বোমা মেরে খুন করা হয়। তাঁর বাড়ি রামপুরহাট থানা এলাকার বগটুই গ্রামে। সেখানে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন ভাদু। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে পালায় এক দল দুষ্কৃতী। ঘটনার পর স্থানীয়েরা রক্তাক্ত অবস্থায় ভাদুকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা ভাদুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর হাসপাতাল চত্বরেই ভাদু শেখের অনুগামীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তারপর রাতের বেলা কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগানো র ঘটনা ঘটে। সোমবার রাতে তিনজন ও মঙ্গলবার সকালে সাতজনের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে দমকলবাহিনী। একটি বাড়ি থেকে সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যদিও বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের প্রাথমিক মন্তব্য, ‘টিভি ফেটে আগুন লেগেছে, তবে খুনের ঘটনার যোগও থাকতে পারে, পুলিশ তদন্ত করুক’। ঘটনার পর এডিজি পশ্চিমাঞ্চল সঞ্জয় সিং ঘটনাস্থলে যান। বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়,লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম রামপুরহাট পৌঁছেছেন।
পুরো ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন সদস্যের সিট গঠন হয়েছে। সিটের সদস্য রা হলেন জ্ঞানবন্ত সিং,মিরাজ খালিদ ও সঞ্জয় সিং। রামপুরহাট থানার আইসি কে ক্লোজ ও এসডিপিও কে অপসারন করা হয়েছে। আপাতত ১৫ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনায় দমকল ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধারে র কথা বললেও বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী র দাবি, মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে সাত জনের। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রামপুরহাটে র ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন। সেইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অন্যদিকে,তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জানান, গ্রাম্যবিবাদের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, এর মধ্যে রাজণীতি নেই।