বেঙ্গল নেক্সট্ ডেস্ক: দুই নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বাসস্টপ থাকলেও ছিল না কোন প্রতীক্ষালয় । জাতীয় সড়ক থেকে রাণিগঞ্জের বক্তারনগর গ্রাম প্রায় দুই কিলোমিটার দুরে অবস্থিত হলেও গ্রামবাসীরা খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য প্রতীক্ষা করতেন। ঝড় বৃষ্টি বা চড়া রোদ সহ্য করতে হোত গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে কোন সংস্থা এগিয়ে না এলেও সমাজসেবী জয়দেব খাঁ র নেতৃত্বে বক্তারনগর গ্রামবাসীর একাংশ প্রতীক্ষালয় তৈরির উদ্যোগ নেন। সেইমতো কংক্রিটের একটি সুসজ্জিত প্রতীক্ষালয় তৈরি হয়।
১২জানুয়ারী বুধবার যার উদ্বোধন করেন সমাজসেবী জয়দেব খাঁ ও বক্তারনগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক আরশাদ আহমেদ। ঢেলে সাজা হয়েছে প্রতীক্ষালয়টিকে। ভিতরে বসার সুনির্দিষ্ট জায়গা। সুন্দর রঙিন প্রতীক্ষালয়ের ভিতর শোভা পাচ্ছে বিবেকানন্দের বাণী।
এখন থেকে এই প্রতীক্ষালয় হয়ে উঠবে বক্তারনগরের গ্রামবাসীদের ক্ষনিকের আশ্রয়স্থল । যা তাদের রক্ষা করবে ঝড়,বৃষ্টি এমনকি চড়া রোদ থেকেও। শুধু বক্তারনগরের বাসিন্দারাই নন, এই প্রতীক্ষালয়ের সুবিধা নিতে পারবেন জাতীয় সড়ক ধরে যাতায়াতকারী মানুষজন। এ প্রসঙ্গে জয়দেববাবুর দাবি, সকলের প্রচেষ্টাতে এই প্রতীক্ষালয়ের সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের উপকারে লাগবে। তবে সাধারণ মানুষকেও এই প্রতীক্ষালয় ব্যাবহারে যত্নবান হতে হবে। তবেই তা দীর্ঘস্থায়ী হবে।