বেঙ্গল নেক্সট্: চলে গেলেন সত্যজিৎ রায়ের ‘বিমলা’। বুধবার দুপুর ২টো ৪৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রখ্যাত নাট্যপ্রতিভা অভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ছিলেন কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে। কিডনির অসুখও ছিল। ওই হাসপাতালেই এদিন শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন তিনি। স্বাতীলেখার মৃত্যুতে শোকের ছায়া শিল্পী মহলে। শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীও।
পর্দায় অভিনয় শুরু করেছিলেন ১৯৮৪ সালে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনয় করেন সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত ছবি ঘরে-বাইরে তে। বিমলার ভূমিকায় অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন দর্শকদের। এরপর আর দীর্ঘদিন পর্দায় দেখা যায়নি তাঁকে। দাপিয়ে বেড়িয়েছেন মঞ্চ। মঞ্চ দাপিয়ে বেড়ানোর সলতে পাকানো শুরু হয়েছিল ১৯৭০ সালে। ওই বছর এলাহাবাদে নাট্যচর্চা শুরু করেন স্বাতীলেখা। পরে কলকাতায় ফিরে যুক্ত হন নান্দীকার থিয়েটার গোষ্ঠীর সঙ্গে। এখানে নাটক করতে করতেই সত্যজিতের সঙ্গে আলাপ ও পরে বিমলা চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করে নেওয়া।
নান্দীকারেই আলাপ বিশিষ্ট নাট্যকার রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের সঙ্গে। পরে প্রেম। আরও পরে বিয়ে। এর পর রুদ্রপ্রসাদ-স্বাতীলেখার যৌথ প্রচেষ্টায় নান্দীকার পরিচিতি লাভ করেছিল কলকাতার অন্যতম সেরা নাট্যগোষ্ঠী হিসেবে। অভিনয়-নির্দেশনার পাশাপাশি বেশ কিছু নাটকের ভাবানুবাদও করেছিলেন স্বাতীলেখা। মাধবী, নাচনির মতো নাটক দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল।
ঘরে-বাইরের পর ৩১ বছর বাদে স্বাতীলেখা ফেরেন বড় পর্দায়। ‘বেলা শেষে’য় সৌমিত্র-স্বাতীলেখার রসায়ন মুগ্ধ করেছিল দর্শকদের। পরে অভিনয় করেন ‘বেলা শুরু’তে। সে ছবি অবশ্য এখনও দিনের আলো দেখেনি। তার আগেই চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন নায়ক সৌমিত্র। এবার চলে গেলেন নায়িকা স্বাতীলেখাও।