বেঙ্গল নেক্সট্: হীরক রাজার দেশে র ছবির জন্য পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের জয়চন্ডী পাহাড়কে বেছে নিয়েছিলেন কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায় । অদ্ভূত দর্শন এই ন্যাড়া পাহাড় পরবর্তীতে পর্যটক ও পাহাড়ে ওঠার প্রশিক্ষণের অন্যতম গন্তব্যে পরিণত হয়। সেই পাহাড়েই ধস। টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ের কিছু অংশে যেমন ধস নেমেছে তেমনিই একটি বড় পাথর উপর থেকে গড়িয়ে চুড়ায় ওঠা সিঁড়ির মুখ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে।স্বাভাবিক ভাবে সেই ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।
গত তিনদিন বৃষ্টির দাপটে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের জয়চণ্ডী পাহাড় থেকে বেশ কয়েকটি পাথর গড়িয়ে মাটিতে পড়ে। ছোট পাথরের পাশাপাশি খসে পড়ে বড় একটি পাথরও। পাহাড়ের চূড়ায় থাকা মন্দিরে যাওয়ার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই এলাকায় এ ভাবে পাথর ভেঙে পড়ার ঘটনা কখনও ঘটেনি। হঠাৎ ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় বিস্মিত এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, গাছ কেটে ফেলার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনার খবর চাউর হতেই মানুষজন ভিড় জমান পাহাড়ের নীচে। তবে যেভাবে পাথর খসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে,তাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছেন তারা।
আশির দশকের শুরুতে সত্যজিৎ রায় তার হীরক রাজার দেশে ছবির কিছু দৃশ্যের শ্যুটিং করেছিলেন জয়চন্ডী পাহাড়ে । ছবির অন্যতম মুখ্য চরিত্র উদয়ন পন্ডিত জয়চন্ডী পাহাড়ে র গুহায় আত্মগোপন করেছিলেন ।
পাহাড়ে উদয়নের ভূমিকায় অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অন্যদিকে গুপি ও বাঘা র চরিত্রে রবি ঘোষ ও তপেন চট্টোপাধ্যায়ের কথোপকথনের দৃশ্য এখনও বাঙালী র নস্টালজিয়া । তাই সকলের আর্জি, ধসের কবল থেকে মুক্ত করতে জয়চন্ডী পাহাড়ে বন্ধ হোক গাছ কাটা। তৎপর হোক প্রশাসন ।