শুভময় পাত্র: বেঙ্গল নেক্সট্:শান্তিনিকেতন:
বিশ্বভারতীতে নয়, এবার পাড়ায় পাড়ায় বসন্ত উৎসবে মেতেছে বাইরে থেকে আসা পর্যটক থেকে শুরু করে বোলপুর শান্তিনিকেতনের বাসিন্দারা। প্রথমদিকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ভিডিওবার্তায় জানিয়েছিলেন, এবারে ঘটা করে বসন্ত উৎসব না হলেও ভিন্ন কোন তারিখে বিশ্বভারতী পারিবারিকভাবে পালন করবে বসন্ত উৎসব। সেইমতো প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল বিশ্বভারতী সঙ্গীত ভবনের ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু পরে আবার উপাচার্যের মত বদলাতে একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয় বসন্ত উৎসব। কিন্তু আনন্দপ্রিয় মানুষ বছরের এই দিনটির দিকে তাকিয়ে থাকে বোলপুর শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসবের শরিক হতে। সেইমতো বাইরে থেকে বহু পর্যটক বিশ্বভারতী তে বসন্ত উৎসব হবে না শুনেও ভিড় করেছেন শান্তিনিকেতনে।
সোনাঝুরি খোয়াই হাট, নিজেদের মধ্যে আবির খেলা নাচ গান ও আদিবাসী নৃত্যের মধ্য দিয়ে ভোরে উঠেছিল শান্তিনিকেতন সংলগ্ন গোটা সোনাঝুরি এলাকা। গোয়ালপাড়া কোপাই নদীর তীরে যেখানে পর্যটকরা ভিড় করে সেখানে বোলপুর পৌরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এর তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয় বসন্ত উৎসব । শান্তিনিকেতনের মধ্যে বিশ্বভারতী বসন্ত উৎসব না করলেও রতন পল্লীতে বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরাও দেখিয়ে দেয় এক অন্যরকম বসন্ত উৎসব। সকালের বৈতালিক থেকে শুরু করে গীতিনাট্য সকলেই হয়েছে এদিনের বসন্ত উৎসবে। এদিকে বোলপুরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে একেবারে রবীন্দ্র ঘরানায় বসন্ত উৎসব করে দেখিয়ে দিল বোলপুর পৌরসভা। বোলপুরের কাশিপুর, বাঁধগোড়া, কালিকাপুর,জামবুনি ও নতুন সংযোজিত হওয়া গোয়ালপাড়ায় এবার বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছিল বোলপুর পৌরসভা।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাংলোর গেটের সামনে নাচ গান ও আবির খেলার মধ্যে দিয়ে আন্দোলনের এক অন্য বসন্ত উৎসব পালন করল বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের তিন দফা দাবি মেনে না নিচ্ছেন ততদিন তাদের আন্দোলন চলবে, উৎসবের দিনও বাদ পড়বে না বলে জানিয়ে দেয় ছাত্র-ছাত্রীরা।