শুভময় পাত্র: বেঙ্গল নেক্সট্:
অবশেষে মুক্তি পেলেন বিশ্বভারতীর তিন আধিকারিক। হাইকোর্টের নির্দেশ মত বিশ্বভারতীর কর্মসচিব সহ তিন আধিকারিককে উদ্ধার করল শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। টানা ৪ দিন পর দপ্তর থেকে পুলিশি পাহারায় বেরোলেন তিন আধিকারিক। ‘কবিগুরুর ক্যম্পাসে পুলিশ কেন ডাকা হল’, স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা৷
তিন আধিকারিক দপ্তর থেকে বেরোলেও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রাবাস খোলার দাবিতে আন্দোলনে অনড় পড়ুয়ারা।
কোভিড পরিস্থিতির পর বিশ্বভারতী খুললেও ছাত্রাবাস খোলেনি৷ ছাত্রাবাস খোলার দাবিতে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বভারতীতে শুরু হয় ছাত্র আন্দোলন৷ ২৪ ঘন্টা দপ্তরে ঘেরাও করে রাখা হয় কর্মসচিব আশিষ আগরওয়াল সহ ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতীগ ঘোষ ও সম্পত্তি আধিকারিক অশোক মাহাতোকে৷ পড়ুয়াদের দাবি, ২৪ ঘন্টা পর তিন আধিকারিককে ঘেরাও মুক্ত করে দেওয়া হয়৷ কিন্তু, দেখা গেল দপ্তরেই বসে ছিলেন তিন আধিকারিক। কর্মসচিব জানান, হেনস্থা হওয়ার আশঙ্কায় তিনি দপ্তর ছাড়েননি।
এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ৷ হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আন্দোলন করা গণতান্ত্রিক অধিকার, আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। পাশাপাশি, হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, কোন আধিকারিককে আটকে রাখা যাবে না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে হবে৷ জেলা পুলিশ প্রশাসনকে পুরো বিষয়টি নজর রাখার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
যদিও, ছাত্রাবাস ও ক্যান্টিন খোলার দাবিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্র আন্দোলন অব্যাহত৷ পড়ুয়ারা জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত চলবে এই আন্দোলন।
পুলিশ আসার পর বিশ্বভারতী কর্মসচিব আশিষ আগরওয়াল বলেন, “দেখলেন তো বাইরে কিভাবে জমায়েত হয়ে আছে৷ আমরা ৪ দিন বেরোতে পারিনি৷ পুলিশ নিয়ে যেতে এসেছে,তাই আমরা বেরোচ্ছি। পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।”
আন্দোলকারী পড়ুয়াদের দাবী, ‘তারা রেজিস্ট্রারকে ঘেরাও করেনি,ওনাকে চলে যেতেই বলেছিলাম৷ উনি নিজেই নিজেকে আটকে রেখেছিলেন৷ পুলিশ এসে তাঁকে নিয়ে গেল, আমরা আদালতের রায়কে সম্মান জানিয়ে কোন বাধা দিইনি। তবে দাবি পূরণ না হওয়ার পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে৷’ এমনটাই জানিয়েছেন বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীরা।