শুভময় পাত্র: বেঙ্গল নেক্সট্:
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কে হস্টেল খোলার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বভারতী তে ছাত্র আন্দোলনে র জেরে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি ছিল অবিলম্বে হস্টেল খুলতে হবে, অনলাইনের ক্লাস এর পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইনেই পরীক্ষা নিতে হবে, আর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার তারিখ পিছোতে হবে। এই তিন দফা দাবি নিয়ে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বিশ্বভারতীর ছাত্র আন্দোলন চরম আকার ধারণ করে। প্রায় তিন দিন বিশ্বভারতীর কর্মসচিব ও জনসংযোগ আধিকারিক সহ তিনজন আধিকারিক কে ছাত্ররা একরকম অফিস কক্ষের মধ্যেই ঘেরাও করে রেখেছিল। যদিও ছাত্রদের দাবি তারা কোন আধিকারিক কে অফিসে আটক রাখেনি, কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশে জেলা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় আধিকারিক কে ছাত্রদেরকে কাছ থেকে ঘেরাও মুক্ত করা হয়।
পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্ট ছাত্রদেরকে জানিয়ে দেন কোনরকম আধিকারিক কে ঘেরাও করা চলবেনা, আন্দোলন আন্দোলনের পথে চলতে পারে তাতে কোনো আধিকারিক কে বিরক্ত করা আইনবিরুদ্ধ কাজ। তার পরবর্তী সময় থেকে ছাত্র আন্দোলন সেই ভাবেই এগোতে থাকে। প্রায় নয়দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও বিশ্বভারতীর কোনো হেলদোল না থাকায় শেষমেষ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে ছাত্রদের জন্য হোস্টেল খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের এই রায় কে সাধুবাদ জানিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা মনে করছেন এটা তাদের নৈতিক জয়। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাদের উপর কোন সহানুভূতিশীল আচরণ করছে না। তিন দফা দাবির মধ্যে এক দফা দাবির সমাধান হলেও বাকি দুই দফা দাবির জন্য আগামী দিনে যে আন্দোলন জারি থাকবে সেটাও পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেন বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীরা।