বেঙ্গল নেক্সট্: তৃণমূলে অভিষেকের গুরুত্ব বৃদ্ধি যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম মাস্টারস্ট্রোক হয়, তাহলে দ্বিতীয়টি অবশ্যই তৃণমূলে সায়নী ঘোষের উত্থান। এবার অভিষেকের শূন্যস্থানে বসানো হল একদা ঘোষিত বামপন্থী সায়নীকে। আপাতত তিনি হলেন যুব তৃণমূলের নয়া সভানেত্রী ।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগ দেন সায়নী ঘোষ। আদতে অভিনেত্রী সায়নী এক সময় ছিলেন ঘোষিত বামপন্থী। ফেব্রুয়ারি মাসে হুগলির এক জনসভায় গিয়ে তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে তুলে নেন তিনি। শিবির বদলের পুরস্কারও পেয়ে যান সায়নী। আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয় তাঁকে। রিল লাইফ ছেড়ে রিয়েল লাইফের দুনিয়ায় পা রেখেই বাজিমাতের চেষ্টা করেন তিনি। কার্যত জীবন বাজি রেখে লড়াই চালিয়ে যান সায়নী। কিন্তু বিধি বাম। বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের কাছে হেরে যান সায়নী।
অন্য কেউ হলে হয়তো এর পর আর আসানসোলের রাস্তা মাড়াতেন না। সায়নী কিন্তু ময়দান ছাড়েননি। করোনা এবং লকডাউন পর্বে আসানসোলবাসীর পাশে তিনি দাঁড়িয়েছেন পরমাত্মীয়ের মতো। তাঁর এই বামপন্থীসুলভ মনোভাবকেই পছন্দ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
সায়নী তৃণমূলে অভিষেকের অনুগামী বলেই পরিচিত। সেটাও অভিষেকের জুতোয় তাঁর পা গলানোর একটা কারণ। তার চেয়েও বড় কারণ, তারকা প্রার্থী যাঁরা এবার তৃণমূলের হয়ে লড়াইয়ের ময়দানে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে একমাত্র সায়নীই হেরেছেন। তাই একটা সাংগঠনিক দায়িত্বে র প্রয়োজন ছিল সায়নীর। অভিষেকের ছেড়ে যাওয়া চেয়ারে তাঁকে বসিয়ে একদিকে যেমন একটা ‘ব্যস্ততা’র মধ্যে রেখে দেওয়া হল, তেমনি তাঁর ‘ময়দানি লড়াই’টাকেও মর্যাদা দেওয়া হল। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই ত্র্যহস্পর্শেই সায়নীর ‘নাটকীয়’ অভ্যুত্থান তৃণমূলের সংগঠনে।