বেঙ্গল নেক্সট্:দুর্গাপুর:
একদিকে যখন দুর্গাপুরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার দলীয় নেতৃত্ব কে নিয়ে বৈঠক করে লোকসভা নির্বাচনে সকলকে একসঙ্গে লড়াই এ নামার বার্তা দিচ্ছেন, ঠিক তখন বিজেপির পক্ষ থেকে শুরু হয়ে গেল দেওয়াল লিখন। বর্তমান সাংসদ সুরেন্দ্রজিৎ সিং আলুওয়ালিয়া নিজে দেওয়াল লিখনে হাত লাগালেন। সবমিলিয়ে লোকসভা নির্বাচন যে আর বেশি দূরে নেই তা স্পষ্ট যুযুধান দুই রাজনৈতিক দলের কার্যকলাপে।
মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা থেকে জঙ্গলমহল সফরে বেরিয়ে প্রথমেই দুর্গাপুরে আসেন। সোমবার এখানেই রাত্রি বাস করেন তিনি। জেলার দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন দুর্বল জায়গাগুলিকে সবল করার জন্য বিভিন্ন নেতাদের দায়িত্ব দেন। তারমধ্যে মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভাতে গত নির্বাচনে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বনাথ পারিয়াল কে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি। একদিকে আসানসোল লোকসভা অন্যদিকে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসন দুটি যাতে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়, তার জন্য সকলকে একসঙ্গে কাজ করারও বার্তা দিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও সমবায় মন্ত্রী ড: প্রদীপ মজুমদার বলেন, সকলকে নিয়ে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে দুর্বল জায়গাগুলিতে বাড়তি নজর দিতে কাউকে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও দলীয় অন্তর্দন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে দেন তিনি।
যদিও পিছিয়ে নেই বিজেপিও। বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভার সাংসদ সুরেন্দ্রজিত সিং আলুয়ালিয়া তারই লোকসভার পানাগড় এলাকায় দেওয়াল লিখনে হাত দিলেন এদিন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে রাজ্য সরকারের প্রতি তার ক্ষোভ, ‘সংসদীয় কোটার টাকা বরাদ্দ করা হলেও তা ইচ্ছা করেই খরচ করেনি রাজ্য। সেই টাকা এখনো আটকে পড়ে রয়েছে। তার দাবি, মোদী সরকার দেশের যুব সম্প্রদায়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন ।
লোকসভা নির্বাচন এখনো ঘোষণা হয়নি, তার আগেই যেভাবে রাজনৈতিক দলগুলি কেউ কোথাও কোথাও তাদের প্রার্থী ঘোষণা করে দিচ্ছে, কেউ দেওয়াল লিখন করছে আবার কেউ দলীয় রণকৌশল তৈরি করতে ব্যস্ত। চারিদিকে যেন ভোটের দামামা বেজে উঠেছে।