বেঙ্গল নেক্সট্: দাদা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে নাম লিখিয়ে বর্তমানে বিধায়ক । ছোট ভাইও নাম লিখিয়েছেন গেরুয়া খাতায়। আর বাবা বিজেপিতে নাম না লেখালেও, যোগ দিয়েছেন বিজেপির সভায়। বাকি রয়েছেন দিব্যেন্দু। তিনি এখনও খাতায় কলমে তৃণমূলে। তবে দলে তাঁর কী অবস্থান তা জানেন না তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বও। এহেন পরিস্থিতিতে কী করণীয় তা বুঝতে পারছেন না দিব্যেন্দু স্বয়ং।
খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারিয়ে ‘জায়েন্ট কিলারে’র তকমা পেয়েছেন অধিকারী পরিবারের মেজ ছেলে শুভেন্দু। গেরুয়া শিবিরে যথেষ্ট গুরুত্বও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। আপাতত তাঁকে বিরোধী দলনেতার পদে অভিষিক্ত করার তোড়জোড় চলছে। তাঁর এক ভাইও ঘোষিত বিজেপি। আর অধিকারী পরিবারের কর্তা শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী এখনও খাতায় কলমে তৃণমূল সাংসদ। তবে তাঁকে দেখা গিয়েছে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায়। এই পরিবারেরই এক ছেলে দিব্যেন্দু এখনও তৃণমূলের সাংসদ। তবে তাঁকে নিয়ে তৃণমূলের জেলা নেতারা পড়েছেন আতান্তরে। তিনি কী করবেন, তাঁকে দিয়ে কী করানো হবে, তা বুঝতে পারছেন না তারা।
দলে থেকেও যাঁরা নির্বাচনের সময় দলের হয়ে কাজ করেননি, কিংবা দলবিরোধী কাজ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করেছেন দলীয় নেতৃত্ব। তবে দিব্যেন্দুর ক্ষেত্রে এমন কোনও সিদ্ধান্ত তাঁরা নিতে পারছেন না। যদিও দিব্যেন্দুর বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজের কোনও অভিযোগ ওঠেনি। আবার দলের কোনও কর্মসূচিতেও দেখা যায়নি তাঁকে।স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে নিয়ে কী করা যায়, তা ভেবে কুল পাচ্ছেন না তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। এ ব্যাপারে তারা তাকিয়ে রয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের দিকে।
একই পরিবারের দুই ভাইয়ের ভিন্ন দলের সদস্য হওয়ার নজির রাজ্যে রয়েছে। এর সব চেয়ে বড় উদাহরণ সৌগত ও তথাগত রায়। সৌগত তৃণমূলের বরিষ্ঠ নেতা। তথাগত বিজেপির। তাই দিব্যেন্দু তৃণমূলে থাকায় তেমন কোনও অসুবিধা নেই। তবে যতদিন না রাজ্য নেতৃত্ব তাঁকে কাজে লাগান, ততদিন দিব্যেন্দুকে ত্রিশঙ্কু হয়েই ঝুলতে হবে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের।