বেঙ্গল নেক্সট্: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত তৃতীয় মন্ত্রিসভায় কি স্থান পাচ্ছেন না মদন মিত্র! এই মন্ত্রিসভায় তাঁর ঠাঁই পাওয়া নিয়ে জোর জল্পনা চলছিল। রবি-সন্ধ্যায় সেই জল্পনায় কার্যত জল ঢেলে দিল সম্ভাব্য নয়া মন্ত্রিসভার একটি তালিকা। রাতারাতি বিরাট কিছু রদবদল না হলে মদনের ভাগ্যে এবারও ছিঁড়ছে না মন্ত্রিত্বের শিকে।
এক সময় মমতার ঘনিষ্ঠ বৃত্তে যে ক’জনের অবাধ যাতায়াত ছিল, তাঁর মধ্যে ছিলেন মদন মিত্রও। কামারহাটির এই বিধায়ক সামলেছিলেন পরিবহণ মন্ত্রীর দায়িত্বও। পরে সরদা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় মদনের। তার পরেই মমতার ঘনিষ্ঠ বৃত্ত থেকে ছিটকে পড়েন মদন। এর পরে পরেই গ্রেফতার হন মদন। তার পর থেকে দলের প্রায় সমস্ত নেতাই মদনের ছোঁয়াচ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। যার জেরে কারাবাস চলাকালীন সময়ে কার্যত নিঃসঙ্গভাবে দিনগুজরান করতে থাকেন মদন। কারাবাসের মেয়াদ অন্তে ঘরে ফেরেন তিনি। কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর শুরু করেন মমতা প্রশস্তি। তার পরেই রাতারাতি দলে গুরুত্ব বেড়ে যায় মদনের। মমতার আশীর্বাদী হাত মাথায় রয়েছে জেনে শুক্রবারই সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে মদন ঘোষণা করেছিলেন, এই হাসপাতালে বিজেপি ইউনিয়ন করলে মেরে চামড়া গুটিয়ে দেবেন তিনি।
ভোটের সময় গোটা কলকাতা মমতার প্রশস্তিসূচক বাক্য সম্বলিত পোস্টারে ভরিয়ে দিয়েছিলেন মদন। তখনই সবাই ধরে নিয়েছিলেন, কামারহাটিতে এবার মদন ভোট বৈতরণী পার হতে পারলে মন্ত্রিত্ব পাকা তাঁর।
তবে রবিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিসভার যে তালিকা সংবাদ মাধ্যমের হাতে হাতে ফিরেছে, তাতে মদনের নাম নেই। কেন? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মদন জেল থেকে ছাড়া পেলেও এখনও কালিমামুক্ত নন। তাই তাঁকে মন্ত্রী করে দলকে আর বিড়ম্বনায় ফেলতে চাননি তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই কারণেই এবার আর মন্ত্রিত্বের শিকে ছিঁড়ল না মদনের।