বেঙ্গল নেক্সট্: অভিষেকের সর্বভারতীয় অভিষেক! মুকুল রায়ের স্থলাভিষিক্ত হলেন যুব নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য-রাজনীতি ছেড়ে জাতীয় রাজনীতিতে উত্তরণ ঘটল তৃণমূলের যুবরাজের।
সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে গোহারা হারে বিজেপি। আশাতীত সাফল্য লাভ করে তৃণমূল। এর সিংহভাগ কৃতিত্ব তৃণমূল নেতারা দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিজেপি নেতাদের কাছে যাঁরা বুয়া-ভাতিজা নামেই পরিচিত। তৃণমূল নেতাদের মতে, চলতি বিধানসভা নির্বাচনে একদিকে যেমন ভোট পড়েছে মমতার সততায়, তেমনি মুখে রক্ত তুলে অভিষেকের করা পরিশ্রমও ব্যর্থ হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই অভিষেকের বড় কোনও পদে অভিষিক্ত হওয়ার সম্ভাবনা ছিলই। এদিন তৃণমূলের বর্ধিত বৈঠকে শিলমোহর পড়ল সেই সম্ভাবনাই। অভিষেককে করা হল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এক সময় যে পদ অলঙ্কৃত করতেন মুকুল রায়।
কেন অভিষেক? অন্য কেউ নয় কেন? রাজনৈতিক পর্যক্ষকদের মতে, ২০২৪ এ লোকসভা নির্বাচন। মোদির জনপ্রিয়তা প্রশ্নের মুখে । মেরুদণ্ডহীন কংগ্রেস। এমতাবস্থায় রাজধানীতে ক্রমেই উজ্জ্বল হচ্ছে তৃতীয় ফ্রন্টের সম্ভাবনা। এই ফ্রন্টের নেতৃত্ব দিতে পারেন এমন গ্রহণযোগ্য একজন নেতা অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র বিরোধী নানা অবস্থানে মমতাকে সমর্থন করেছেন কাশ্মীরের ওমর আবদুল্লা থেকে মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে। বিহারের তেজস্বী যাদব কিংবা উত্তর প্রদেশের অখিলেশের সমর্থনও রয়েছে মমতার পিছনে। স্বাভাবিকভাবেই মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা দিনের পর দিন বাড়ছে বই কমছে না। আর যদি তা হয়, তবে সেক্ষেত্রে রাজ্যের ব্যাটন থাকবে অভিষেকের হাতে। মুখ্যমন্ত্রীর তখতে যুবরাজকে অভিষিক্ত করে দিল্লি যাবেন মমতা। অদূর ভবিষ্যতের সেই সম্ভবনাই প্রদীপের সলতে পাকানো শুরু হয়ে গেল শনিবারের বারবেলায়, কালীঘাটের বৈঠকে। ভবিষ্যৎই বলবে আগামীদিনে রাজনীতির জল কোন খাতে বইবে। কালীঘাটের আদি গঙ্গায় নাকি গঙ্গার মূল স্রোত বেয়ে সোজা দিল্লির যমুনায়!