বেঙ্গল নেক্সট্: বিজেপি র টিকিট পান নি। তাই নির্দল প্রার্থী হিসেবে বীরভূমের লাভপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপিতে যাওয়া মনিরুল ইসলামের মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য।
গত দুবারের তৃণমূল বিধায়ক ২০১৯ এ লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু জেলা বিজেপির প্রতিবাদে র জেরে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন। বীরভূমের রাজনৈতিক চালচিত্রের এক বিতর্কিত চরিত্র এই মনিরুল প্রথমে ছিলেন ফরোয়ার্ড ব্লকে। পরে যোগ দেন তৃণমূলে। কিন্তু একের পর এক বিতর্কিত বক্তব্য, ৩ জনকে খুনে মদত দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে তার গ্রহণযোগ্যতা ক্রমশঃ কমছিল তৃণমূলে। তারপর তার বিজেপিতে যোগদান ঘিরেও যথেষ্ট জলঘোলা হয়েছিল। এহেন ব্যাক্তি র ফের ভোটে লড়ার সিদ্ধান্তে একদিকে যেমন চাপ তৈরি হোল বিজেপির অন্দরে, অন্যদিকে অনেকটা সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অভিজিৎ সিংহ(রাণা)। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, মনিরুলের অনুগামী যারা বিজেপিতে ভোট দেওয়ার জন্য তৈরি ছিলেন, তারাই এবার সরাসরি মনিরুলকেই ভোট দেবেন। সেক্ষেত্রে ভোট কমবে বিজেপি র।
অন্যদিকে, এই কেন্দ্রে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী পোড় খাওয়া রাজনীতিক, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির অভিজিৎ সিংহ প্রার্থী ঘোষণার অনেক আগে থেকেই লাভপুরের মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন। লকডাউন চলাকালীন এলাকার বিভিন্ন গ্রামে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন,এক্ষেত্রে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিধায়ক মনিরুলের অকর্মণ্যতার জন্য এলাকায় কাজ করার যে সুযোগ তৈরি হয়েছিল তাই কাজে লাগিয়েছেন রাণা।
গ্রামে গ্রামে প্রচারে গিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর প্রতিশ্রুতি, ভোটে জিতলে এক নতুন লাভপুর তৈরী করবেন। লাভপুর সন্ত্রাসমুক্ত হবে। উন্নয়নকে পাখি র চোখ করা অভিজিৎ সিংহ তাই এখানে তৃণমূলের তুরুপের তাস।