বেঙ্গল নেক্সট্ : মোক্ষম চাল দিতে গিয়ে কি বামেদের হাতে সেরা অস্ত্রটি তুলে দিলেন মমতা? আপাতত এই প্রশ্নটা ঘিরেই তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। নন্দীগ্রামকাণ্ড যে পূর্ব পরিকল্পিত, এদিন প্রকারান্তরে তাও বুঝিয়ে দেন মমতা!
২০০৭ সালে ঘটে নন্দীগ্রামকাণ্ড। পুলিশের গুলিতে সেদিন মারা যান ১৩ জন। মৃতদের শহিদের মর্যাদা দেয় তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের তৎকালীন নেতা শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামে বানিয়ে দেন সুউচ্চ শহিদ মিনার। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল।
তাল কাটল রবিবার। এদিন নন্দীগ্রামের ঘটনায় শুভেন্দুকে দায়ী করেন মমতা। তিনি বলেন, নন্দীগ্রামের ঘটনার দায় বাপ-বেটার(পড়ুন শিশির-শুভেন্দু)।
এখানেই উঠছে প্রশ্ন, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ঘটনাটিকে ষড়যন্ত্র বলেছিলেন। এদিন মমতা পরোক্ষে তাকেই মান্যতা দিলেন না কি? প্রশ্ন আছে আরও। নন্দীগ্রামকাণ্ড যদি মমতার কথা মতো ষড়যন্ত্রই হয়, তবে মমতা এতদিন চুপ ছিলেন কিসের স্বার্থে? তিনি তো মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। ছিলেন পুলিশ মন্ত্রীও। তার পরেও তিনি চুপ করে থেকে কোন সত্য ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলেন?
তাহলে কি তৃণমূল ছাড়াতেই শিশির-শুভেন্দুর এই প্রাপ্য হল? মনে রাখতে হবে, মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী করার কৃতিত্ব তৃণমূলের হাতে গোণা যে কয়েকজনের প্রাপ্য, তাদের মধ্যে অন্যতম কাঁথির অধিকারী পরিবার। তাহলে কি অধিকারীদের দুষে নির্বাচন-উত্তর কালে বামেদের সঙ্গে সমঝোতার রাস্তা খুলে রাখলেন মমতা?
যদিও এনিয়ে সোমবার আসরে নামলেন স্বয়ং বুদ্ধদেব। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে জমি রক্ষা আন্দোলনের পিছনে ‘কুটিল চিত্রনাট্য’র অভিযোগ তুলেছেন। এবিষয়ে লিখিত বিবৃতিতে তৃণমূল ও বিজেপি কে দুষেছেন তিনি। এপ্রসঙ্গে শুভেন্দু র জবাব, দ্বিচারিতা করছেন তার প্রতিপক্ষ ।