বেঙ্গল নেক্সট্: ফের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধারে রহস্য রেলশহরে। শনিবার সকালে আসানসোলের চিত্তরঞ্জনে একটি গাড়ির ভিতর থেকে গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয় বছর আটচল্লিশের আনন্দকুমার ভাটের। শহরের কর্নেল সিং পার্ক এলাকা থেকে দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। খুনের কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নিরাপত্তার বেষ্টনীতে ঘেরা এই রেলশহরে দিনের পর দিন খুনখারাপি বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে শহরবাসী।
চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভে কাজ করতেন আনন্দকুমার। পাশাপাশি করতেন গৃহশিক্ষকতাও। তাঁর একটি গাড়িও রয়েছে। ভাড়ায় খাটাতেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান আনন্দকুমার। তারপর আর খোঁজ মেলেনি। এদিন সকালে কর্নেল সিং পার্কের কাছে একটি গাড়ি দেখতে পান স্থানীয়রা। উঁকি মেরে তাঁরা দেখেন, গাড়ির স্টিয়ারিংয়ের ওপর ঝুঁকে পড়ে রয়েছেন আনন্দকুমারের দেহ। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। তাঁর শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে। খুনের কারণ জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
বছরভর নিরাপত্তার বেষ্টনীতে ঘেরা থাকে রেলশহর চিত্তরঞ্জন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন বাস করেন এই শহরে। ফলে এখানকার সংস্কৃতি মিশ্র। গত কয়েক মাসে একাধিকবার ঘটেছে খুনের ঘটনা। তার জেরে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। কী কারণে বাড়ছে অপরাধপ্রবণতা ? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চিত্তরঞ্জনের পাশেই ঝাড়খণ্ড সীমানা। ফলে অপরাধ করে দ্রুত অপরাধীরা গা ঢাকা দেয় পড়শি রাজ্যে। তাছাড়া ঝাড়খণ্ড থেকে নিরাপত্তার ফাঁক গলে অনায়াসেই আগ্নেয়াস্ত্র চলে আসে শহরবাসীর হাতে হাতে। তাই কাউকে গুলি করে খুন করাটা এখানে জলভাত। সেই কারণেই আপাত শান্ত শহরের পরতে পরতে জ্বলছে অশান্তির আগুন। সম্প্রতি আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার বদল হয়েছে। নতুন পুলিশ কমিশনারের দায়িত্বে দুঁদে আইপিএস অজয় ঠাকুর। তার নেতৃত্বে স্থানীয় পুলিশ ঘটনার কিনারা করে এলাকায় অপরাধ কমাতে কতটা সক্রিয় ভূমিকা নেবে এখন সেটাই দেখার।