বেঙ্গল নেক্সট্: ফিরহাদদের গ্রেফতারির দিন মুখ্যমন্ত্রী নিজাম প্যালেসে কেন? বুধবার এই প্রশ্নই তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। সোমবার ফিরহাদ হাকিমকে গ্রেফতার করে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। তার পরেই সেখানে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি হয় নারদ মামলার। সোমবার সাত সকালে ওই মামলায় গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। ঐদিন সকালে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল নেতা মদন মিত্রকে। গ্রেফতার করা হয় কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। ফিরহাদকে সিবিআই আধিকারিকরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এসেছে বলে খবর পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন তিনি তৈরি হচ্ছিলেন নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেবেন বলে। কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এর পর গাড়ি ঘুরিয়ে তিনি সোজা চলে যান নিজাম প্যালেসের উদ্দেশে। গাড়ি থেকে নেমে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে মুখ্যমন্ত্রী সটান চলে যান নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে। এর পরেই আধিকারিকদের বলেন, আমাকে গ্রেফতার করুন। যতক্ষণ না গ্রেফতার করবেন, আমি যাব না। এর পর সেখানেই ঘণ্টা ছয়েক ঠাই বসে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন সওয়াল চলাকালীন সেদিনের সেই প্রসঙ্গ ওঠে। সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার মেহতা বলেন, ফিরহাদদের গ্রেফতারের পর নিজাম প্যালেসে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে তিনি তাঁকেও গ্রেফতার করার দাবি জানান।এর পরেই কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর এভাবে ধর্নায় বসে পড়াটাও নজিরবিহীন। এর পরেই তাঁর প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উনি কি এটা করতে পারেন? এরকম হলে সাধারণ গ্রেফতারের ক্ষেত্রেও এটা একটা রেওয়াজ হয়ে যাবে।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্তদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ও অন্য নেতারা বিক্ষোভে প্ররোচনা দিতে যাননি। তাঁরা বরং বিক্ষোভকারীদের থামানোর চেষ্টা করেন। যাঁরা গ্রেফতার হয়েছিলেন, তাঁরা ওঁর সহকর্মী। ফলে তাঁদের জন্য কলকাতায় বিক্ষোভ ছড়িয়েছে, এমন কথা ঠিক নয়। প্রভাব খাটানোর যুক্তিও তোলা যায় না। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতরে, রাজ্য পুলিশের দফতরে নয়। যদিও নারদ মামলায় ফের শুনানি হবে বৃহস্পতিবার । এখন বৃহস্পতিবার আদালতের রায়ের উপর নির্ভর করছে ধৃত চার হেভিওয়েট রাজণীতিকের ভাগ্য।