বেঙ্গল নেক্সট্: চিতায় চাপানো ‘মরা’ হঠাৎ নড়ে ওঠায় চাঞ্চল্য । আসলে তখনও বৃদ্ধার প্রাণ অবশিষ্ট ছিল। তাই তড়িঘড়ি ঐ বৃদ্ধাকে হাসপাতালে পাঠানোর বন্দোবস্ত করল পুলিশ। কিন্তু শেষরক্ষা হোল না। চিকিৎসকরা কিছুক্ষণ চেষ্টা করে হাল ছাড়লেন। মৃত ঘোষণা র মাধ্যমে যবনিকার ইতি টানলেন তারা। এই ঘটনা পশ্চিম বর্ধমানে র পান্ডবেশ্বরের।
পান্ডবেশ্বরের বৈদ্যনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নামো পাড়ার বাসিন্দা পুষ্পরানি আচার্য(৭৮) বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তার করোণার উপসর্গ ছিল না। যদিও এই নামোপাড়ায় মাত্রাতিরিক্ত করোণার সংক্রমণ ছড়ানোয় এলাকাটি কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত । বৃহস্পতিবার দুপুরে বৃদ্ধা কোন সাড়াশব্দ না দেওয়ায় তার ছেলেরা প্রতিবেশীদের জানান । ডাকা হয় চিকিৎসককেও। কিন্তু করোণার কারণে তিনিও আসেন নি । দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে রাখা থাকলেও তার শারীরিক পরিবর্তন না হওয়ায় সকলে ধরে নেন যে পুষ্পরানি ইহলোক ত্যাগ করেছেন। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহ সৎকারের জন্য পান্ডবেশ্বর মহাশ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। কাঠের চিতায় দেহ তুলে দেওয়ার পর হঠাৎ দেহ নড়ে ওঠে। শ্মশানযাত্রীরা হতচকিত হয়ে যান। খবর যায় পান্ডবেশ্বর থানায় । পুলিশ এসে বৃদ্ধাকে পাঠায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে । চিকিৎসাও শুরু হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়। যদিও কি করে একজন জীবিতকে চিতায় তোলা হোল তা নিয়ে তদন্তে পান্ডবেশ্বর থানার পুলিশ ।