বেঙ্গল নেক্সট্: এবারেও অমিত মিত্রেই ভরসা মমতার।অন্তত তৃণমূল সূত্রে এমন খবরই মিলেছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে রবিবারই অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দু দফা শাসনে অমিত মিত্রই সামলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সংসার। বাম সূর্য অস্ত যাওয়ার পরে রাজ্যের কোষাগারের যখন হাঁড়ির হাল, তখন শক্ত হাতে হাল ধরে মুখ্যমন্ত্রীর সংসার সামলে দিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অমিত।
চলতি বিধানসভা নির্বাচনে শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রার্থী হতে চাননি অমিত। ২০১১ ও ২০১৬ সালে খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন অমিত। এবার তিনি প্রার্থী হতে গররাজি হওয়ায় খড়দহে প্রার্থী করা হয় মমতার আর এক অনুগত সৈনিক কাজল সিনহাকে। ভোট গ্রহণের আগের দিন আচমকাই মৃত্যু হয় করোনা সংক্রমিত কাজলের। ফল প্রকাশের পর দেখা যায় অমিতের আসনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন অকাল প্রয়াত কাজল।
চলতি বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় তৃণমূল। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নবান্নের অলিন্দে ফেরে ঘাসফুল শিবির। তবে চলতি বিধানসভা নির্বাচনে যাঁরা জয়ী হয়েছেন তাঁদের মধ্যে অর্থনীতিবিদ কেউ নেই। স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান সময়ে অমিতের ঘাড়েই অর্থমন্ত্রকের গুরুদায়িত্ব দিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চান মমতা।
তবে অমিত অর্থমন্ত্রী হলে অন্য সমস্যাও দেখা দেবে। সেটা হল, তাকে ছয়মাসের মধ্যে নির্বাচিত বিধায়ক হতে হবে,সেক্ষেত্রে তিনি কোথায় দাঁড়াবেন? তৃণমূল নেত্রী স্বয়ং হেরেছেন নন্দীগ্রামে। তাই তাঁর একটি আসন দরকার। যেহেতু খড়দহে বিপুল ভোটে তৃণমূল জয়ী হয়েছে, তাই সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর দাঁড়ানোর সম্ভাবনা প্রবল। তাহলে অমিত কোথায় দাঁড়াবেন? মন্ত্রী হলে তো ছ মাসের মধ্যে তাঁকে কোনও একটি আসন থেকে জিতে আসতে হবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেক্ষেত্রে অমিতকে খড়দহ আসন ছেড়ে দিয়ে মমতা ফিরতে পারেন তাঁর পুরানো কেন্দ্র ভবানীপুরেই। তখন সেখানকার প্রার্থীরই বা কী হবে? তাঁকেই বা কোথায় দেওয়া হবে পুনর্বাসন? প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলের।