বেঙ্গল নেক্সট্: রাজ্যে করোনার গ্রাফ ক্রমশঃ ঊর্ধ্বমুখী। মারণ ভাইরাস করোনার সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যু মিছিল। সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের পথে হাঁটছে বেশ কয়েকটি রাজ্য। বাংলাও কি সেই পথেই হাঁটবে? উঠছে প্রশ্ন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেসামাল গোটা দেশ। বাদ নেই এ রাজ্যও। গোয়া সহ যে রাজ্যগুলিতে সংক্রমণের গ্রাফ বল্গাহীন, তারা ইতিমধ্যেই আংশিক লকডাউন সহ নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। কোথাও জারি হয়েছে নৈশ কার্ফু, কোথাও বা লাগু হয়েছে সাপ্তাহিক লকডাউন। করোনায় মৃত্যুর হার বাড়তে থাকায় কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে লকডাউনের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করার পরামর্শ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। তার পরেই ১৫ই মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। কেরালায়ও লাগু হয়েছে লকডাউন। সংক্রমণ বাড়ছে বাংলায়ও।
সবে মাত্র মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জারি হয়েছে আংশিক লকডাউন। কিছু ক্ষেত্র বাদ দিয়ে দিনের বেলায় তিন ঘণ্টা ও সন্ধ্যায় দু ঘণ্টার জন্য খোলা থাকছে বাজার। সম্পূর্ণ বন্ধ থাকছে বার, রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল, চিড়িয়াখানা।
এতে সংক্রমণ খানিকটা হলেও কমবে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী সপ্তাহে সংক্রমণ দ্বিগুণ হতে পারে গোটা রাজ্যেই। সেক্ষেত্রে রাজ্যে লকডাউন হবে কি?
নীতিগতভাবে লকডাউনের বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এখনই লকডাউনের সম্ভাবনা নেই। তবে ঈদের দিন দুয়েক পরে সংক্রমণ রুখতে লকডাউন হলেও হতে পারে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। এখন দেখার, সংক্রমণ রোখার শেষ অস্ত্র মুখ্যমন্ত্রী আদৌ প্রয়োগ করেন কিনা!